শিরোনাম

10/recent/ticker-posts

কুপ্রস্তাবে রাজিনা হওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে প্রকাশ্যে মারধর ও বিবস্ত্র করার প্রতিবাদ ও সুষ্ঠ বিচার দাবিতে ঈশ্বরদীতে সাংবাদিক সম্মেলন

 

বিশেষ প্রতিনিধি,  ।। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়াসহ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রকাশ্যে দিবালোকে বিবস্ত্র করে মারধরের প্রতিবাদে ও সুষ্ঠ বিচার দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন প্রবাসীর স্ত্রী কবিতা খাতুন। গতকাল সন্ধ্যায় ঈশ্বরদীর মাজদিয়া নুরা ঠাকুরের মোড়স্থ নিজ বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে সুষ্ঠ বিচার ও উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন, মারধরের শিকার হওয়া কবিতা খাতুন,কবিতার শিশু সন্তান আরাফাত,কবিতার শাশুড়ি মর্জিনা খাতুন,কবিতার মাতা সানোয়ারা বেগম,কবিতার নানী শ্বাশুড়ি মহিফুল নেছা,বোন শেফালী,প্রতিবেশী মহর আলী,মহির মোল্লাহ,সাইদুল ইসলাম ও আশিক ইসলাম। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, মাজদিয়া নুরা ঠাকুরের মোড়স্থ ইব্রাহিম মন্ডলের ছেলে প্রতিবেশী মিঠু মন্ডলের নেতৃত্বে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে

গত দুই আগস্ট দুপুরে কবিতার নিজ বাড়ির সামনে পাঁচজন নারী পুরুষ মিলে কবিতা খাতুনকে প্রকাশ্যে জনসন্মুখে মারধর করে বিবস্ত্র করা হয়। সম্মেলনে আরও অভিযোগ করে বলা হয়, স্বামী উজ্জলের প্রবাসে থাকার সুযোগে রুহুল মন্ডল দীর্ঘদিন থেকে কবিতা খাতুনকে কু-প্রস্তাব দিত। এদিকে ঐদিন ঘটনার পরপরই কবিতা খাতুনের পরিবারের পক্ষ থেকে ৯৯৯-এ কল দেওয়া হলে ঈশ্বরদী  থানার এএসআই হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় কবিতা খাতুনকে থানায় অভিযোগ দাখিলের পরামর্শ দেন। এএসআইর পরামর্শ মোতাবেক কবিতা খাতুনকে প্রথমে ঈশ্বরদী  উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে ঐদিন বিকেলেই কবিতা খাতুনের শ্বাশুড়ি মর্জিনা খাতুন বাদী হয়ে ঈশ্বরদী  থানায় মিঠু মন্ডলসহ পাঁচজনের  নামে অভিযোগ দাখিল করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে সে অভিযোগের কোন অগ্রগতি না হওয়ায় গত ১৮ আগস্ট কবিতা খাতুন বাদী হয়ে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল আদালতে কবিতা খাতুন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এদিকে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সাংবাদিক সম্মেলনে কবিতা খাতুনের দেওয়া অভিযোগ সঠিকনা বলে মিঠু মন্ডল সাংবাদিকদের নিকট দাবি করেন।#

তাং-২৪.০৮.২০২৪

 

Post a Comment

0 Comments

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ