ঈশ^রদী প্রতিনিধি ॥ বন্ধ হওয়া পাকশি পেপার মিলের এমডি সিরাজুল ইসলাম ও সিকিউরিটি অফিসার গাউসের বিরুদ্ধে কোটি টাকা দামের মেশিন,পাইপ ও শতবর্ষী দামি গাছসহ অন্যান্য সম্পদ অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। মিলের গাছসহ সকল প্রকার সম্পদ অবৈধভাবে বিক্রির বিষয়ে দূর্ণীতি মুক্ত ও নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের দিয়ে সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক দৃষ্টন্ত মূলক শাস্তির এবং প্রধান মন্ত্রীরও জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। মিলের কর্মচারী পরিবারের সদস্য পারভেজ, পাকশীর যুবলীগ নেতাদের পক্ষ থেকে মিরাজুল হাসান ও এলাকাবাসীদের দেওয়া অভিযোগ সূত্রে এসব তথ্য জানাগেছে।
সূত্রমতে,পাকশী পেপার মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে স্থানীয় সিন্ডিকেটের সদস্যরা মিলের এমডি সিরাজুল ইসলাম ও সিকিউরিটি অফিসার গাউসের সাথে আঁতাত করে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, মিল থেকে পাকশী পদ্ম নদীর পন্টুন পর্যন্ত কয়েক কোটি টাকার দামি পাইপ ও অসংখ্য শতবর্ষী দামি গাছসহ অন্যান্য সম্পদ অবৈধভাবে গোপনে বিক্রি করে সরকারকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছেন। এরপরও গত এক সপ্তাহ আগে প্রায় ৫/৬ লাখ টাকা টাকা মূল্যের ৫ টি গাছ টেন্ডার ছাড়াই গোপনে বিক্রি করেছে। সম্প্রতি এসব মালামাল বিক্রির বিষয়ে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিকস্ ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হলেও রহস্যজনক রহস্যজনক কারণে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সকল প্রকার অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য পাকশী পেপার মিলে গিয়ে এমডি সিরাজুল ইসলাম ও সিকিউরিটি অফিসার গাউসের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তারা সাংবাদিকদের সাথে দেখা ও কথা বলেননি। এমনকি কোন সাংবাদিক যাতে মিলের অফিসে যেতে না পারেন সে জন্য মিল গেটের সিকিউরিটিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রটি মিলের গাছসহ সকল প্রকার সম্পদ অবৈধভাবে বিক্রির বিষয়ে দূর্ণীতি মুক্ত ও নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের দিয়ে সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক দৃষ্টন্ত মূলক শাস্তির দাবি করেছে। এ বিষয়ে প্রধান মন্ত্রীরও জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।#
ক্যাপশন: অবৈধভাবে বিক্রি করা দামি গাছ কাটা হচ্ছে।
0 Comments