অনলাইন ডেস্ক ।। সদ্য পদত্যাগপত্র জমা দেয়া স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জেকেজি হেলথকেয়ারকে অনুমোদন দেয়ার বিষয়ে তাদের কাছ থেকে কিছু কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। আজ ডিবি’র একটি টিম স্বাস্থ্য অধিদফতরে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ডিবি কর্মকর্তারা দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরে যান। তারা আগে থেকে অধিদফতরের ডিজি ও এডিজির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ডিবি তাদের জানায়, তারা জেকেজি হেলথকেয়ারকে করোনার নমুনা সংগ্রহের অনুমোদন সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্র দেখবে। তাদের সেসব কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে বলা হয়।
এরপর বিকেলে ডিবির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) গোলাম মোস্তফা রাসেলের নেতৃত্বে একটি টিম স্বাস্থ্য অধিদফতরে গিয়ে তাদের কাছ থেকে কাগজপত্র দেখে যাচাই করে। প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় জেকেজির বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে অর্থ নিচ্ছিল জেকেজি। পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া সনদ দেয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথকেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল চৌধুরী, তার স্ত্রী ড. সাবরিনা আরিফসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও সাংবাদিকদের কাছে ডা. সাবরিনা কয়েকবার দাবি করেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরে ডিজি জেকেজির বিষয়ে জেনেশুনেই অনুমোদন দিয়েছেন। তিনি জেকেজির কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে অবগত ছিলেন।
0 Comments