অনলাইন ডেস্ক ।। আর মাত্র ক’দিন বাদেই ঈদুল আজহা। ইতিমধ্যে রাজধানীর হাটগুলোতে আসতে শুরু করেছে কোরবানীর পশু। তবে, প্রতিবছরের মত এবারো তৎপর অজ্ঞান ও মলম পার্টি। বাস, রেল ষ্টেশন ও লঞ্চ টার্মিনালের পাশাপাশি জনাকীর্ণ স্থানে ওৎপেতে থাকছে এসব চক্র। সুযোগ পেলেই ছিনিয়ে নিচ্ছে সর্বত্র। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী বলছে, এদের প্রতিরোধে অভিযান চলছে। গ্রেফতারও হয়েছে বেশ কয়েকজন।
করোনা মহামারীর কারণে গত বছরের তুলনায় এবার রাজধানীতে ১০টিরও বেশি পশুরহাট কম বসছে। এর মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১১টি ও উত্তর সিটি করপোরেশনে বসছে ৬টি। এছাড়া অনলাইনে কোরবানির পশু বেচাকেনার ব্যবস্থাও নিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন।
২৭ জুলাই হাট শুরুর কথা থাকলেও এরই মধ্যে হাটগুলোতে আসতে শুরু করেছে কোরবানির পশু। তবে, করোনা সংকটের মধ্যে ভাল দাম পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিক্রেতারা। আর বিক্রেতারা যাতে সুন্দুর পরিবেশে কোরবারির পশু বিক্রি করে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে সেদিকে সতর্ক হাট কর্তৃপক্ষ।
তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, ঈদকে সামনে রেখে বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে অজ্ঞান ও মলম পার্টির সদস্যরা। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে এদের অপতৎপরতা। অভিনব নানা কৌশলে টার্গেট ব্যক্তিকে অচেতন করে কিংবা চোখে মলম দিয়ে সর্বস্ব হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র।
এদিকে, পুলিশ বলছে, রাজধানীসহ সারা দেশের পশুর হাটকে টার্গেট করে সক্রিয় হয়ে উঠা এ চক্রকে ধরতে মাঠ পর্যায়ে পোশাকে ও সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। চলতি মাসের ৫ তারিখ মধ্য রাতে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডে একদল মলম পার্টির সন্ধান পায় গোয়েন্দা পুলিশ।
রাতেই এ চক্রের সদস্যদের ধরতে গেলে গুলাগুলিতে নিহত হয় দুই জন। আর, গেলো রোববার ভোরে রাজধানীর মেরুল বাড্ডার বীর উত্তম রফিকুল ইসলাম সড়কে অভিযান চালিয়ে মলম পার্টির ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
এ সময়, যানবাহনের যাত্রী, পথচারী বা গরু ব্যবসায়ী সবাইকে অপরিচিত কারও দেয়া কিছু না খাওয়াসহ আরও সচেতন থাকার আহবান জানান পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
0 Comments